ইছালে ছওয়াব মাহফিলে মানুষ ঈমানী প্রেরণায় উজ্জিবিত হয়ে থাকে-পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা কুতুব উদ্দিন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি::
পীর সাহেব বাতুশ শরফ আল্লামা কুতুব উদ্দিন (ম-আ) বলেছেন, ফাতেহায়ে ইয়াজ দাহুম-ইছালে ছওয়াব মাহফিল একটি বরকতপূর্ণ মাহফিল। গউছে পাক হযরত অব্দুল কাদের জিলানী রহঃ স্মরণে প্রতিবছর এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এবারো কক্সবাজার বায়তুশ শরফে ইছালে ছওয়াব মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আল্লাহর মেহরবাণীতে মাহফিলের সুন্দর অয়োজন করা হয়েছে। গতকাল ইছালে ছওয়াব মাহফিলের এক প্রস্তুতি সভায় পীর সাহেব বায়তুশ শরফ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এখানে ঈমানী, রূহানী তালকীন পেয়ে আল্লাহর বান্দারা ঈমানী প্রেরণায় উজ্জিবিত হয়ে থাকে।
আজ (৯ ডিসেম্বর) বাদ আছর থেকে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে শুরু হচ্ছে দুই দিন ব্যাপী পবিত্র মাহফিলে ইছালে ছওয়াব (ফাতেহায়ে ইয়াজ দাহুম)। মাহফিল সফল করার লক্ষ্যে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে গতকাল মাহফিল উদযাপন পরিষদের এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পীর সাহেব হুজুর মাহফিলের প্রস্তুতি দেখে আল্লাহর শুকুরিয়া আদায় করেন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য দেয়া করেন।
বাদ মাগরিব কমপ্লেক্সের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বায়তুশ শফর কমপ্লেক্সের নির্বাহী উপদেষ্টা ও সহ-সভাপতি প্রবীণ আলেমে দ্বীন মাওলানা তাহেরুল ইসলাম। মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ্সভায় উপস্থিত ছিলেন বায়তুশ শরফের প্রাণ পুরুষ হুজুরে কেবলা বাহারুল উলুম আল্লামা কুতুব উদ্দিন (ম-আ)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব সিরাজুর ইসলাম ও ঢাকা বায়তুশ শরফের পরিচালক খলিলুর রহমান।
যুগে যুগে আম্বিয়ায়ে কেরামের উত্তরসূরী হক্কানী ওলামায়ে কেরাম ও পীর মুর্শিদগণ মুসলমানদেরকে বিভিন্ন বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করে আসছেন। কিয়ামত পর্যন্ত যেহেতু আর কোন নবী রসুল অসবেন না, সেহেতু নবী রসুলদের অনুকরণে কুরআন হাদিসের অনুসরণে হক্কানী আলেম ওলামা ও পীর মুর্শিদরা মানুষকে পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন।
বায়তুশ শরফ সিলসিলার পীর মুর্শিদগণও নবী রসুলদের সেই পথ অনুসরন করে মুসলমানদের ঈমান অকিদা রক্ষা করে ইহকালনি শান্তি ও পরকালীন মুক্তির পথ সুগম করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পবিত্র মাহফিলে ইছালে ছওয়াব (ফাতেহায়ে ইয়াজ দাহুম) এই ধরণের একটি দ্বীনি রূহানী মাহফিল। এখানে শিরক ও বেদাআতের কোন সুযোগ নেই।
তিনি অরো বলেন, আল্লাহর মেহেরবাণীতে বায়তুশ শরফ আজ বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। মানুষ কক্সবাজার আসে বনভোজনের জন্য আর বায়তুশ শরফে সারাদেশ থেকে মেহমানরা আসেন মনভোজনের জন্য। তার মানে ঈমানী রুহানী তালকিনের জন্য। মাহফিলেরসুন্দর প্রতস্তুতির জন্য তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে সফলতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
মাহফিল উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ও বায়তুশ শফর কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম বলেন, বায়তুশ শরফ ধর্ম, শিক্ষা, চিকিৎসা ও মানব সেবার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। আজ বাদ আছর থেকে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে শুরু হচ্ছে দু’দিন ব্যাপী পবিত্র মাহফিলে ইছালে ছওয়াব (ফাতেহায়ে ইয়াজ দাহুম)। এটি কক্সবাজার জেলার সর্ববৃহৎ দ্বীনি মাহফিল। এই মাহফিল সফল করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৪০টি কমিটির দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
এতে দেশ বরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ ও বিশষ্ট ওলামায়ে কিরাম তশরীফ অনবেন এবং মূল্যবান বক্তব্য রাখবেন। এই দ্বীন, ঈমানী ও রূহানী মাহফিলে শরীক হয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবী হাসিল করার প্রতি বছরের ন্যয় এবারো দূরদুরান্ত থেকে হাজার হাজার দ্বীনদার ঈমানদার মুসলমানদের সমাগম হবে ইনশা আল্লাহ।
তিনি অরো বলেন, আগত মেহমানদের বা জামায়াত নামাজ আদায়, খতমে কুরআন, খতমে রোখারী, জিকির মাহফিল, খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা, ও নিরাপত্তায় কোন সমস্যা না হয়মত মাহফি কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিয়েছে। মেহমানদের মেহমানদারীতে কোন কমতি এবং মেহমানদের কোন কষ্ট না হয়মত স্বেচ্ছাসেবকদের তাগিদ দেন তিনি।
তিনি অরো বলেন, দিশা হারা-পথ হারা মুসলমানদেরকে সত্যিকারের ইসলামের দাওয়াত, রূহানী তাকীন ও সমাজ সেবার মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ। তাঁর অনুসৃত পথে বায়তুশ শরফ এগিয়ে যাচ্ছে বলেই শিক্ষা, চিকিৎসাও মানব সেবায় এই প্রতিষ্ঠান আজ মহিরুহে পরিণত হয়েছে। আর এর পেছনে রয়েছে বায়তুশ শরফ সিলসিলার পীর মুর্শিদগণের রূহানী তওয়াজ্জু। বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স এবং এই মাহফিল কক্সবাজার বাসীর জন্য অর্শিবাদ। এক সাথে ইমানী রূহানী তালকীন, শিক্ষা-চিকিৎসা, সমাজ সেবা ও পূর্নবাসন বায়তুশ শরফ এর পীর মর্শিদগণের ব্যতিক্রমী কার্যক্রম।
আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক কমিনার মাওলানা আব্দুল হাই, মাওলানা অনোয়ারুল ইসলাম ও মাওলানা ওমর ফারুক।
এসময় মাহফিল বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে গঠিত বিভিন্ন উপকমিটির আহবায়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে প্রফেসার এম এ বারী, মাওলানা শফিক আহমদ, আলহাজ্ব আব্দুশ শুক্কুর, মাহমুদুল হক কোম্পানী, আলহাজ্ব আলাউদ্দিন, আলহাজ্ব মফিজুর রহমান, আলহাজ্ব মাহফুজুল ইসলাম, হাজী ওসমান গণী, আলহাজ্ব নূরুল আলম, রশিদ আহমদ, দিদারুল আলম, মনছুর আলম, মোঃ শফিকুর রহমান, শওকতুল ইসলাম,মোঃ রফিক মিয়া, জাফর উল্লাহ, শামসুল করিম,আবুল কালাম আবু, মুহাম্মদ আবদুর রহীম,মাওলানা শফি, মাওলানা হাফেজ নাছির উদ্দন, সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ ও সাংবাদিক শামসুল হক শারেক।
পাঠকের মতামত